পাজর আমার ব্যথা হইয়া গেলো কিন্তু ফোপানোর ধমকানি কমিলনা

শোকে পাথর হইয়া গিয়াছি তথাপিও কিছুতেই কিছু বলিবনা বলিয়া সিদ্ধান্ত নিয়াছি।
মাত্র গতকাল্য প্রত্যুশে আমার সাধের বিড়ালটি হৃদক্রিয়া বন্ধ হইয়া মারা গিয়াছে।
ক্রিয়া কিভাবে বন্ধ হইলো তাহা নিয়া যতই হাহুতাশ করিতেছি কিন্তু কোন প্রকার কুল কিনারা পাইতেছি না।
বলা বাহুল্য এটা আমার একমাত্র বিড়াল ছিল।
মাবাবা যতই ডাকাডাকি করুক না কেনো দিবসের সুর্য দগদগে হইবার পূর্বে সে আমাকে কখনই ডাকিত না। আর সত্যি বলতেকি আমিও তাহার ডাক শুনিবার পূর্বে খুলিবনা আখি হেতু বিছানা ধাবড়াইয়া পড়িয়া থাকিতাম।
সেই বিড়াল সোনা মনি আমার মরিয়া গেলো, আমাকে ছাড়িয়া চিরতরে চলিয়া গেলো, আমি কোন ভাবেই তাহা মানিয়া লইতে পারিলাম না।
ক্ষুদ্র কবরখানার অনতিদুরে হাটু গাড়িয়ে ফুপাইতে লাগিলাম। পাজর আমার ব্যথা হইয়া গেলো কিন্তু ফোপানোর ধমকানি কমিলনা।
হৃদয়বিদারক এ দৃশ্য দেখিতে সুহৃদ সকলে আমার এবং কবরের চারিদিকে ঘুড়াঘুড়ি করিতে লাগিল। দীর্ঘশ্বাস ছাড়িয়ে সকলেই বলিতে লাগিল, “কতইনা ভালোবাসিত তাহাকে”।
বি:দ্র: চামেলিকে কথা দিয়েছিলাম, তাহার বিড়ালটাকে আদরে সম্মানে আগলাইয়া রাখিব। চামেলিও আমাকে শেষ বারের মতো সুযোগ দিয়া বলিয়াছিল, আমি বেড়াইতে যাইতেছি। ফিরিয়া দেখিব তোমার আমার প্রতি ভালোবাসা কতটা মজবুত, “ইহাই তোমার শেষ সুযোগ আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা প্রমানের”