"ইমরানের চিৎকার”

সন্ধ্যা ৮.৫৬, ১৯.০১.২০১৯ইং
ইকবাল@01617121410
TGB এর সাথে সাজেক ট্যুর পর্ব-২
"ইমরানের চিৎকার”
------------------------------------------------
না, কোনভাবেই পারা যাইতেছে না।
ইমরান তাহার সহযাত্রীদের কোন ভাবেই একত্র করিতে পারিতেছে না।
সর্বমোট ২৬ জনকে নিয়া যাত্রা শুরু করার পর ইতিমধ্যে ২ দিন ২ রাত পার হইলো কিন্তু খাওয়ার সময়, বেড়াইবার সময়, আলোচনার সময় এমনকি গুরুত্বপুর্ণ কথা বলিবার সময়ও ঐ ২৬ জনকে একত্র করিতে পারিলোনা। পারিবেইবা কিভাব, সকলে দেখতে একই রকম মানুষের মতো হইলেও মাথায় মগজে তাহাদের আলাদা আলাদা ইচ্ছা শক্তি রহিয়াছে যে। তাহাদের সেই সকল বিচিত্র ইচ্ছা শক্তি বিশাল দলকে ভাঙ্গিয়া খান খান করিয়া দিয়াছে।
তাই, আজ যখন ফেরার সময় ঘনাইয়া আসিলো তখন ইমরানের হৃদয়ে একই সাথে দুঃখ ও হতাশা নড়াচড়া করিতে লাগিলো।
মনে মনে উপরের দিকে তাকাইয়া বলিতে লাগিলো- আল্লাহ, তুমি আমার এ আশাটাকে পুর্ণ করিলেওতো পারো।
খাগড়াছড়ি এলাকার বৃহৎ এক পার্কে বেড়াইতে আসিয়াছে ট্যুর শেষের আজকের দিনে। সাথে ২৬ জনের বিশাল দল, কিন্তু যথারীতি যে যার মতো করিয়া বিভিন্ন দিকে ছিটকাইয়া পরিয়াছে। এদিকে প্রকৃতির চাপে ইমরান পার্কে ঢুকিয়াই টয়লেট খুঁজিতে লাগিলো। কিন্তু অনেক খুজিঁয়াও কেনো জানি টয়লেটের সন্ধান পাওয়া গেলোনা।

হঠাৎ ইমরান চিৎকার দিয়া উঠিলো। টয়লেট খুঁজিয়া পাইবার আনন্দে নয়, কিংবা ভালোবাসার মানুষকে সামনে দেখিয়াও নয়।
সে দেখিলো তাহার আশা আল্লাহ পুরণ করিয়াছ। ২৬ জন সহযাত্রি সকলকেই সে এক সঙ্গে টয়লেটের সামনে উপস্থিত পাইলো।
প্রকৃতির লিলা খেলা সকলকে কিভাবে এক কাতারে আনিয়া দাড় করাইয়াছে ভাবিয়া ইমরানের মনে যুগপৎ ভাবনার উদয় হইলো।