ছোট বেলার একটা কথা মনে পড়ে গেলো…….
বেশি ছোট বেলা নয়….. অল্প ছোট বেলা।
তখন আ এস.এস.সি পাশ করে নব্য উঠি উঠি গোফে তা দিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছি।
আবোল তাবোল বন্ধু বান্ধব কিছু জোগাড় করে দুপুর-বিকেল-সন্ধ্যায় আড়ালে আবডালে বসে আড্ডা দিচ্ছি আর নোংড়ামি ভড়া গল্প আর চুটকি শুনে রোমাঞ্চিত হচ্ছি।
কি করে যেনো এক আধা বুড়োর সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেলো। কি ভাবে হলো নাইবা বল্লাম। ওনি একটি কিন্ডারগার্টেনে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছেন।
একদিন সকালে এসে বলল- জয়দেবপুর মুন সিনেমা থেকে “অন্তরে অন্তরে” দেখে আসি। আজ শেষ দিন। গত ৬ দিন ৬ বার দেখছি। আবার আজকে দেখমু। সালমান আর মৌসুমের প্রেমে হিষ্টুরী দেখলে নিজের পুরানো দিনের কাহিনি মনে পইরা যায়।
চল্লাম।
চৌরাস্তা থেকে বলাকা নামের মুড়ির টিনে উঠলাম।
বাসে লোকে ঠাসা। স্যার দোস্ত ঠেলা দিয়ে গিয়ে ড্রাইভারের অন্য পাশের মহিলা সিটের সামনের অসম্ভব চিপা জায়গায় চাপ দিয়ে এ বলে বসে পরলে “সবারইতো মা-বইন আছে”।
আমি স্যার দোস্তের ক্ষুধার্ত দুচোখের কারিশমা দেখলাম। স্যার লাজুক হয়ে বসে আছে। আধা ঘন্টার রাস্তায় সে যথারীতি আলাপ শুরু করেছে সামনে বসা চমৎকার মেয়েদের সাথে।
অল্প সময়েই তারা যেনে গেছে তাদের সামনে বসা মধ্য বয়স্ক পুরুষটি একজন মান্যগন্য শিক্ষক।
শ্রদ্ধা নেমে এলে তাদের ব্যবহারে আর কথায়। কিছুটা আস্বস্ত হলো তারা।
বাস থেকে নেমে কিছুটা হাটার পথ।
স্যার তার কিয়দপুর্বের মনের জমানো কথাগুলো আমায় ব্যক্ত করলো।
–জানিস দোস্ত….
–একেবারে আমার সামনে বসা মেয়েটা….. ঐযে লাল উর্নাটা পেচায় রাখছিল গলায়।
–বার বার তার হাটু আমার হাটুর মধ্যে ঘষা খাচ্ছিল।
–ঘষা তো হাটুতে খায় নাই মনে হচ্ছিল কইলজায় ঘষা লাগতেছিল।
–আরোকটু হইলেই ফাত কইরা আগুন জইলা যাইতো।
——- বার বার মনে হইতেছিল বিছানায় তার ঘষা যেনো কেমননননন মজা।
….এখানেই আমার কাহিনি শেষ।
আমরা যারা “সবারই মা-বইন আছে”, কিংবা “উনিতো সম্মানিত মানুষ”, কিংবা “উনিতো বুড়া মানুষ”, কিংবা বিভিন্ন উছিলায় আমরা চিরন্তন ছেলে-মেয়ের উস্কানিমুলক আবেগকে অবলিলায় তুচ্ছ করে দেখি তাদেরকে উপরের ঘটনা ছাড়া আর কিছু বলার নেই।