সুরসুরি এবং বিচারের দন্ড

“লুইচ্চা”
শব্দটা কেমন যেনো রগরগে আর নোংরা।
অথচ কোন মেয়ের মুখে শুনলে অনেকটাই ছান্দনিক আর মর্ডান লাগে।
“মেয়ে” কথাটা চলে এলো।
এ শব্দটা শুনলেই মজা লাগে খুব, নড়েচড়ে বসি।
সুরসুরি লাগে এখানে সেখান, সুরসুরি।


সুরসুরি আছে আপনার?
আপনার হয়তো নেই, কিন্তু আমার আছে।
ভালো মতোই আছে।
রাস্তায় মেয়ে দেখলেই সুরসুরি লাগে আমার।
টকটকে লিপস্টিক দেয়া মেয়েটার দিকে তাকালেও লাগে।
সুন্দর করে হিজাব পরা মেয়েটাকে দেখলেও লাগে।
এমনকি বোরকা পরা মেয়েটাকে দেখলেও সুরসুরি লাগে।
পাশের সিটে বসা মেয়েটার কথা ভেবেও মারাক্তক সুরসুরি লাগে আমার।
সারা শরির ঢেকে রেখে পথ চলা মেয়েটাকে দেখেও আমার উপর্যুপরি সুরসুরি লাগে।
একেবারে খাড়া হয়ে যায়,,,,
শরিরের প্রতিটা লোম।
নিজেকে কন্ট্রোলের ব্রেক ফেল করে বসি।
ভাব নেই এমন যে কিচ্ছুইনা অথচ চুড়ান্ত সুরসুরিতে আছি।
খালাম্মা মার্কা মহিলাদের দেখেও কেমন যেনো লাগে, মনে হয় সুরসুরিই।
স্কুলের ম্যাডাম, পাশের বাসার ভাড়াটিয়া সবই কেমন যেনো সুরসুরি উতপাদক।
কি যে করি, বারান্দায় ঝুলানো টুকরো কাপড়্গুলো দেখেও সুক্ষ্ম সুরসুরি টের পাই।


লুইচ্চামির মানদন্ডে আমি এক নোংরা কিট বই আর কিছুতো নই।
ইভটিজার হিসেবের আমার নামইতো সর্বোচ্চে থাকে বা থাকার কথা।


একটা প্রশ্ন আবারো করি-
আপনার সুরসুরি লাগেনাতো?
টকটকে কিংবা মেট শাইনিং লিপস্টিক সাথে লাইনার আকা মেয়েদের ঠোটের দিকে তাকালে, কিংবা
হিজাব দেয়া অথচ টাইট জিন্স পরা মেয়েটার দিকে তাকালে, অথবা
সেলিব্রেটিদের মতো টাইট ফিটিং বোরকা সাথে উগ্র মেকাপ দেয়া যুবতির দিকে তাকালে, অথবা
পাশের সিটে বসা ঝাঝালো সেন্ট দেয়া মেয়াটার পাশে বসে, অথবা
সারা শরির ঢেকে রাখা অথচ টাইটস আর শর্টহাটা গ্যেঞ্জি পরা মেয়েটাকে দেখলে, অথবা
বয়স হয়েছে অথচ গায়ের ভাজ প্রকাশ করতে আগ্রহী খালাম্মা মার্কা মহিলার দিকে তাকালে, অথবা
পেট আর পিঠ বের করা মেডামদের দিকে তাকালে, অথবা
বারান্দায় মেয়েদের অন্তর্বাসগুলোর দিকে তাকালে-
সত্যিই যদি আপনার সুরসুরি না লাগে তাহলে বলাই যায় যে আপনার ইভটিজার হবার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
তবে ভাই, আপনি দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান। আপনার শারিরিক সমস্যা আছে।
আমার জন্য যেমন ইভটিজিং আইন আছে তেমনি আপনার জন্যও আছে ডাক্তার।

যান ভাই, তানাহলে সমস্যায় পরে যাবেন।