শত্রু বা সমালোচনাকারীকে শিক্ষা দেয়ার দুটি উপায় আছে। হয় নিজের ক্ষতি করে তার ক্ষতি করো নইলে তার দেয়া আঘাত বা খোঁচা গুলো নিজের কাজে লাগিয়ে তাকে তার মত করে ছেড়ে দাও। সে তোমার জন্য গর্ত খুঁড়ে নিজেই তাতে পতিত হবে।
আমাদের একটা অভ্যাস হলো- নিজের পরিচিত বন্ধুদের কাছে শত্রুর নামে বদনাম করে তাকে হেও করে আমরা প্রতিশোধ নিতে পছন্দ করি। আল্টিমেটলি তাকে ছোট করতে গিয়ে নিজের দুর্বলতা টুকুও প্রকাশ করে দেই। ধরো তুমি কাওকে ছোট করতে কিছু একটা বলে বেড়ালে, নিশ্চিত থাকো তার কানে একদিন সে কথা যাবেই। তা কেউ ইচ্ছা করে তার কাছে লাগাক বা কথা প্রসংগেই লাগাক, জানবে সে ঠিকই।
তুমি হয়তো শুধু বলেছো লোকটা খুব খারাপ। সামান্য এই কথাটাই যখন তার কানে যাবে। সে শুধু তোমাকে খারাপই বলবেনা সাথে একটা গালিও জুড়ে দিবে। গালিটা আবার তোমার কানে আসবে তুমি আবার বাড়তি কিছু জুড়ে দিবে। এর ফলে দুটি ব্যাপার ঘটবে। এক তোমাদের শত্রুতা বাড়বে, দুই তৃতীয় ব্যাক্তি তোমার দুর্বলতার সুযোগ নিবে।
অতএব শত্রুকে শুধু চিনে রাখো, তার ব্যাপারে কথা উঠলে হয় প্রশংসা করো নয় এড়িয়ে যাও। সে তোমার নামে বদনাম করে এক সময় নিজেই থেমে যাবে। শত্রুকে ঘাঁয়েল করতে মেজাজ না বুদ্ধির প্রয়োজন হয়। নিরবতার চেয়ে বড় প্রতিশোধ আর হয়না। সে বদনাম করে তোমাকে আলোচিত করবে, যাদের কাছে আলোচিত করবে তারা তোমাকে লক্ষ্য করবে। এটাই সুযোগ তোমার সুন্দর ব্যাবহার তুমি কাজে লাগাও। তার প্রতিটা খোঁচা তোমার অস্র হবে, তুমি সম্মানিত হবে।
ভেবনা হেরে গেছো কিংবা শত্রুকে তুমি ছেড়ে দিয়েছো। তোমার প্রতি তৃতীয় পক্ষের সম্মান অথবা শ্রোদ্ধা প্রতি মুহুর্ত তোমার অনিষ্টকারীকে পুড়িয়ে মারবে। তাকে দেখে এমন মিষ্টি করে হাসবে যেনো কিছুই নেই তোমার মনে। দেখবা সে হাসিতেই সে পুড়ে ছাঁই হয়ে যাবে
এ ব্যাপারে একটা বাণী দিতে পারি
তুমি কারো দিকে তীর ছুড়ো না, সে তীর তোমার দিকেই আসবে। কেউ তোমার দিকে তীর ছুড়ে দিলে রিএক্ট করোনা। কেউ কিছু দিলে সেটা গ্রহন না করলে তার কাছেই ফিরে যায়।।