প্রয়োজন ও ইচ্ছার উপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যৎ প্ল্যান তৈরী হয়।
আর এ প্ল্যান তৈরী হয় লক্ষ্যের বলয়কে কেন্দ্র করে।
মনে রাখা জরুরি:
-তোমার প্রয়োজন, ইচ্ছা এবং পছন্দ অন্যদের সাথে নাও মিলতে পারে।
-অন্যদের কাছে তোমার স্বপ্নগুলো গুরুত্বপুর্ণ নাও হতে পারে। কারণ,
অন্যদের এব্যপারগুলোও তোমার কাছে এমনি গুরুত্বহীন।

এটা জরুরী নয় যে:
- অন্যরা কে কি পছন্দ করে, কিংবা আশা করে কিংবা ভাবে।
জরুরী হলো:
- তুমি তোমার লক্ষ্যে পৌছতে কতটা এগ্রেসিভ।
- এগিয়ে যাওয়ার পথের বাঁধাগুলো মাড়িয়ে কিংবা পেড়িয়ে যাবার সক্ষমতা তোমার আছে কিনা।
- যদিও সব বাঁধা মাড়িয়ে যাবার চাইতে পেড়িয়ে যাবার চেষ্টা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ।
এও বুঝতে হবে:
- তোমার পাশের লোকগুলো/টি তোমার জন্য কেমন।
- এই “কেমন” বুঝতে হলে তোমাকে সর্বোচ্চ প্রজ্ঞা ব্যবহার করতে হবে।
- প্রজ্ঞা অর্জনে যারা তোমার পাশে ছিলো তাদেরকে তুমি “বাতিল” এর খাতায় নিয়োনা।
মনে রেখো:
- তুমি জানোনা তুমি কি জানোনা।
- এবং এও সত্য তুমি যা জানো সেটাও যে ঠিক নয় তাও তুমি জানোনা।
মোদ্দা কথা হলো:
- কাছের জন অর্থাৎ অভিভাবক এর ইচ্ছায় যা করবে সেটায় যদিও তোমার স্বপ্ন পুরোটা থাকবেনা, কিন্তু নিশ্চয়তা থাকবে সর্বোচ্চ।
- তোমার প্রজ্ঞাহীন সিদ্ধান্তগুলো সুন্দর, সতেজ, দীপ্তমান, উজ্জ্বল আর চকচকে হতে পারে, কিন্তু সঠিক নয়।
সিদ্ধান্ত:
- সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার তোমার আছে। কিন্তু,
- যথেচ্ছা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কাছের জনেরা বাঁধা দিবেই।
- কারন, তোমার কাছে তারা হয়তো প্রিয় হয়ে উঠেনি, কিন্তু তাদের কাছে তুমি “কলিজার টুকরা” সদৃশ।
- এ সত্য এভয়েড করার অসৎ সাহস হয়তো তোমার আছে, কিন্তু তোমাকে আস্তাকুড়ে ছুড়ে দেয়ার অস্পৃশ্য ভাবনা তারা ভাবেনা।
শেষ কথা:
- কথাগুলো যদি তুমি বুঝে না থাকো, তবে জেনো- ভালো সিদ্ধান্ত আর স্বপ্ন দেখার প্রজ্ঞা এখনো তোমাতে আসেনি।
- এই ভালো, প্রজ্ঞা অর্জন পর্যন্ত অন্তত কাছের মানুষগুলোর কাছে থাকো, দুরে যেওনা।
ইkbal.homna