একটা সময় পর সুমন বুঝতে পারে তাকে কেউ পাত্তা দিচ্ছেনা। এমনকি তার এক সময়ের একান্ত বন্ধু শফিকও তাকে এড়িয়ে চলছে। যে বন্ধু তাকে ছাড়া একদিনও থাকতে পারতো না সে আজ তাকে ঘৃনা করছে। কি করবে কিছুৃই মাথায় আসছে না সুমনের। সবগুলো পথই যেনো তার আজ বন্ধ হয়ে এসেছে। প্রত্যেকটা মানুষ তাকে দুরদুর-ছিছি করছে। বাবা, আত্মীয় স্বজন সবাই তাকে আজ খারাপ মানুষ হিসেবে জেনে গেছে। কাছের মানুষগুলো কেউ তার কাছে আসছে না।
সুমনের বন্ধু শফিক এর ২ বছরের বয়সে ছোট বোন মানহা। মানহা এবং সুমনকে অপ্রিতীকর অবস্থায় তার নীজের ঘরে আবিস্কার করে শফিক। সঙ্গে সঙ্গে ঘার ধরে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শফিক। এবং কঠিন ভাবে জানিয়ে দেয় আর কোনদিন যেনো তার সামনে না পড়ে সুমন, তাহলে হাড্ডি গুড়ো করে দেবে সে।
শফিক আর সুমন ব্যক্তিগত জীবনে কেউই ধোয়া তুলসিপাতা নয়। দুজনই এক সাথে রাস্তায় দাড়িয়ে মেয়েদের সাথে ইভটিজিং করে। নোংরা কথা বলে। কিন্তু স্বভাবে যতই দুজনের মধ্যে মিল আর বন্ধুত্ব থাকুকনা কেনো নীজের বোনের সাথে কেউ খারাপ কিছু করলে তা সহ্য করতে পারে না।
যার ফলশ্রুতিতে শেষ পর্যন্ত সুমন তার মান সম্মান খুইয়ে এবং বন্ধুত্ব হারিয়ে নোংরা মানুষ হিসেবে পরিচয় তৈরী করে একটি দুর্বিস্বহ জীবন শুরু করে।
নষ্ট স্বভাবের চাইতে বড় ক্ষতিকর আপদ আর কিছু নেই। এর জন্য শেষ পর্যন্ত পস্তাতে হয়।
প্রশ্ন: তোমার কি মনে হয় উপরের ঘটনাটি বাস্তবের সাথে মিল আছে?
🝕হ্যা / 🝕না
প্রশ্ন: ঘটনায় শফিক সুমনকে এভয়েড করাটা তোমার কাছে ঠিক মনে হয়েছে?
🝕হ্যা / 🝕না
প্রশ্ন: তুমি নীজেকে সুমনের চাইতে ভালো মানুষ মনে করো?🝕হ্যা / 🝕না